Mohammad Jahidul Islam Chaklader | জাহিদ চাকলাদার
পরিবার এবং শৈশবঃ মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম চাকলাদার (Mohammad Jahidul Islam Chaklader) ১৯৮১ সালের ১ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বাল্যকাল থেকেই ছিলেন অত্যন্ত দুরন্ত এবং জ্ঞানপীপাসু একজন বালক। তিনি ক্রিকেট খেলায় অনেক ভাল ছিলেন। তার ভবিষ্যতে ক্রিকেটে পেশা গড়ার ইচ্ছা থাকলেও পারিপার্শ্বিকতার কারনে তা হয়ে ওঠেনি।
Jahid Chaklader With Own Office (EcoTech) |
ইকোটেকের প্রতিষ্ঠাঃ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের প্রিয় শহর ঢাকাও আজ হুমকির সম্মুখীন। এবং দূষিত নগরীর তালিকায় ঢাকা কখনো কখনো শীর্ষে অবস্থান করছে। এই পরিস্থিতি থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য, নগরকে সবুজায়নের জন্য, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার লক্ষে জাহিদ চাকলাদার নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ব্যাতিক্রম এবং উদ্ভাবনী সব প্রকল্পের মাধ্যমে নগরের মানুষকে কৃষিতে সম্পৃক্ত করে একদিকে যেমন নগর সবুজায়ন নিশ্চিত করেন, অপরদিকে বিষমুক্ত ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তার অনেক উদ্যোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং প্রশংসিত উদ্যোগ হচ্ছে ২০১১ সালে “ইকোটেক’’ প্রতিষ্ঠা। নগরের মানুষকে কৃষিতে সম্পৃক্ত করার জন্য এটিই ছিল জাহিদ চাকলাদারেরে প্রথম এবং সর্বজন বিদিত উদ্যোগ। যেখানে তিনি নগরের মানুষের মাধ্যমেই দিনাজপুর এবং ঠাকুরগাঁও এর প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলতে আম বাগান তৈরি করার কার্যক্রম শুরু করেন। যেখানে তিনি নিশ্চিত করেন অল্প জমিতে অধিক ফলন এবং বিষমুক্ত ও নিরাপদ ফল উৎপাদন। যেখানে প্রতি ১ একর জমিতে সর্বচ্চ ২০০টি আম গাছ লাগানো যায়, সেখানে জাহিদ চাকলাদার ১০৮০টি আম গাছ লাগিয়ে ভাল ফলন করে এক অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেন।
ইকোটেক আমবাগান প্রকল্পে মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম চাকলাদার |
যার ফলে নগরের মানুষ যেমন নিরাপদ ফল পেয়ে উপকৃত হয়েছেন এবং শহরে বসবাস করে কৃষিতে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছেন, অনুরুপ ভাবে, সাধারণ কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে উদ্ভুদ্যকরন এবং সহযোগিতা করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
ইকোটেক আম বাগান প্রকল্পে আমের বাম্পার ফলন |
জাহিদ চাকলাদারের এই উদ্যোগের মাধ্যমে যেমন নগরের শত শত মানুষ বাগান গড়ার স্বপ্ন পুরন করতে পেরেছেন তেমনি হত দরিদ্র ও সাধারণ কৃষকেরা এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আজ অল্প জমিতে অধিক এবং নিরাপদ ফল উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। যার ব্যাপকতা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ফল উৎপাদনের প্রেক্ষাপট এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় তিনি বাংলাদেশে বারি-১ জাতের মাল্টা উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। একই পদ্ধতিতে অল্প জমিতে অধিক ফলন এবং মান সম্মত ফল উৎপাদন করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় তিনি বাংলাদেশে বারি-১ জাতের মাল্টা উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। একই পদ্ধতিতে অল্প জমিতে অধিক ফলন এবং মান সম্মত ফল উৎপাদন করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
ইকোটেক মাল্টা বাগান প্রকল্পে প্রথমবারেই ব্যাপক ফলন |
এই মাল্টা যেমনি রসালো, সুস্বাদু এবং বিষমুক্ত ও নিরাপদ হওয়ায় নগরের মানুষের কাছে সহ সারা দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। এবং নগরের মানুষ সুধু মাল্টা খেয়েই তৃপ্ত নয়, একজন গর্বিত মাল্টা বাগানের মালিক হতে পারছেন ঢাকা শহরে থেকেই। অনুরূপ ভাবে সাধারণ কৃষকরা একই পদ্ধতিতে মাল্টা চাষের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে।
জাহিদ চাকলাদার ঠাকুরগাঁও এর পিরগঞ্জ উপজেলায় একটি এগ্রো ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তুলছেন। যেই এগ্রোপার্কে থাকবে উৎপাদন এবং গবেষণার বিশাল এক সম্ভার। যেখানে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। এবং সেই গবেষণা থেকে দেশ সহ বিশ্বের কৃষিতে এক অভাবনীয় প্রভাব ফেলবে। যেখানে আমাদের দেশিও উৎপাদিত প্রায় সব ধরনের ফসল নিয়েই গবেষণার ব্যাবস্থা থাকবে। এই লক্ষে তিনি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আর নগরকে সবুজায়নের জন্য তিনি যে ব্যাতিক্রমি ও উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়েছেন, তা হচ্ছে ছাদ বাগান কর্মসূচী। ছাদবাগান বা নগর কৃষি পদ্ধতিটি একটু সময় সাপেক্ষ এবং কঠিন হওয়ায় অনেকেই ছাদ বাগান করতে ব্যার্থ হচ্ছেন, অথবা যারা ইতোমধ্যেই ছাদ বাগান করেছেন তারাও সঠিক পরিচর্যার অভাবে হয় বাগান নষ্ট করে ফেলেছেন অথবা বাগান থেকে আশানুরূপ ফসল পাচ্ছেন না। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই জাহিদ চাকলাদার একটি অভিনব সেবা প্রদান চালু করেন। তার মধ্যে একটি হচ্ছে একুয়াপনিক্স পদ্ধতি।
বাংলাদেশে প্রথম সফল আকুয়াপনিক্স (Aquaponics) পদ্ধতিতে বিপুল পরিমাণে ফসল ফলাতে সক্ষম হন তিনি। এবং জাহিদ চাকলাদার নিশ্চিত করেন যে, সব ধরনের গাছ যেমনঃ- ফল ফুল, সব্জি সহ ঔষধি গাছ ও একুয়াপনিক্সের মাধ্যমে উৎপাদন করা সম্ভব। আর এই কার্যকরী প্রকল্পটি ঢাকা শহর সহ সারা দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে তিনি একটি দক্ষ টিম তৈরি করেন এবং এই টিম নিরলস ভাবে নগর সবুজায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তিনি অনেক ছাদ সবুজে রূপান্তর করেছেন।
সুধু তা-ই নয়, তিনি ঢাকা শহরের ছাদ মালিকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ছাদ বাগান করার জন্য উদ্ভুদ্যকরন এবং কম খরচে অধিক ফলন উপযোগী ছাদ বাগান করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি প্রায় কয়েক হাজার ছাদ মালিকদের বিভিন্যভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
২০২০ সালে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে তিনি বিনামূল্যে ১০ হাজার ছাদ মালিকদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়ার আয়োজন করেছেন তার ‘ইকোটেক’ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।
তার এই কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে । জাহিদ চাকলাদারের স্বপ্ন তিনি এই শহরকে বিষমুক্ত খাবার এবং নির্মল বায়ুর শহর হিশেবে প্রতিষ্ঠিত করতে দিঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি এই লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন।
একুয়াপনিক্স পদ্ধতিতে মাটি বিহীন বাগান |
বাংলাদেশে প্রথম সফল আকুয়াপনিক্স (Aquaponics) পদ্ধতিতে বিপুল পরিমাণে ফসল ফলাতে সক্ষম হন তিনি। এবং জাহিদ চাকলাদার নিশ্চিত করেন যে, সব ধরনের গাছ যেমনঃ- ফল ফুল, সব্জি সহ ঔষধি গাছ ও একুয়াপনিক্সের মাধ্যমে উৎপাদন করা সম্ভব। আর এই কার্যকরী প্রকল্পটি ঢাকা শহর সহ সারা দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে তিনি একটি দক্ষ টিম তৈরি করেন এবং এই টিম নিরলস ভাবে নগর সবুজায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তিনি অনেক ছাদ সবুজে রূপান্তর করেছেন।
সুধু তা-ই নয়, তিনি ঢাকা শহরের ছাদ মালিকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ছাদ বাগান করার জন্য উদ্ভুদ্যকরন এবং কম খরচে অধিক ফলন উপযোগী ছাদ বাগান করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি প্রায় কয়েক হাজার ছাদ মালিকদের বিভিন্যভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
২০২০ সালে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে তিনি বিনামূল্যে ১০ হাজার ছাদ মালিকদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়ার আয়োজন করেছেন তার ‘ইকোটেক’ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।
চিত্রনায়ক ফেরদৌস এবং জাহিদ চাকলাদার ফ্রি ছাদবাগান পরিচর্যা কর্মসূচীর উদ্ভধন করেন |
Wish you good luck.
ReplyDelete